Monday, May 13, 2013


কবিরা গুনাহ থেকে বাঁচতে হলে আমাদেরকে জানতে হবে ও মানতে হবে

imagesআ স ম আহসান উল্লাহ আব্দুল্লাহ: পবিত্র কোরান শরিফে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন - তোমরা যদি সেই মহা পাপ সমূহ থেকে বিরত থাকতে পারো, যাহা হইতে তোমাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে, তাহলেই আমি তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করবো এবং তোমাদেরকে সন্মানপ্রদ গন্তব্যস্থানে প্রবিষ্ট করবো। (সূরা নিসা-আয়াত৩১)

বর্ণীত আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা নিজ দয়ায় এবং নিজ দায়িত্বে ঐব্যক্তিকে জান্নাতে প্রবেশ করানোর জামিন হয়েছেন, যে ব্যক্তি কবিরা গুনাহ সমূহ থেকে নিজেকে মুক্ত রেখেছ, তাদের জন্য। কেননা সগিরা গুনাহগুলো জুমা ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও রমজানের রোজা ইত্যাদী দ্বারা মাফ হয়ে যায়। হাদীস শরীফে রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন,পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এবং এক জুমা থেকে অন্য জুমা ও এক রমজান থেকে অন্য রমজান-মধ্যবর্তি সময়ের সগিরা গুনাহ সমূহের জন্য কাফফারা স্বরূপ, যদি বান্দা কবিরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে। অর্থাৎ বান্দা যদি নিজেকে কবিরা গুনাহ থেকে বাঁচিয়ে রাখে, তবে এক নামাজ থেকে দ্বিতীয় নামাজের পূর্ব পর্যন্ত সময়ে কোন সগিরা হয়ে থাকলে তা দ্বিতীয় নামাজ আদায়ের দ্বারাই মাফ হয়ে যাবে। এমনিভাবে জুমা ও রমজানের দ্বারাও তার মধ্যবর্তি গুনাহ মাফ হবে। (মুসলিম শরিফ)

এ থেকে এটা স্পষ্ট হয় যে কবিরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাথে আরো একটি বিষয় দ্রষ্টব্য যে - উলামায়ে কিরামের ভাষ্যানুযায়ি, তাওবা ও ইস্তেগফারের পর কবিরা গুনাহ থাকেনা অর্থাৎ মাফ হয়ে যায় তেমনিভাবে সগিরা গুনাহ ও বার বার করার দ্বারা সগিরা গুনাহ থাকেনা বরং তা কবিরা গুনাহে রূপান্তরীত হয়ে যায়। সুতরাং কবিরা গুনাহ থেকে বাঁচতে হলে প্রথমত কবিরা গুনাহকে জানতে হবে এবং সেগুলো চিনতে হবে। কেননা না চিনলে তা থেকে নিজেকে বাঁচাবো কিভাবে, আর সাথে সাথে সকল সগিরা গুনাহ থেকেও নিজেকে মুক্ত রাখতে হবে। এ প্রসংগেই হযরত হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন,মানুষ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে ভাল কাজের ব্যপারে প্রশ্ন করতো, অথচ আমি মন্দ কাজের ব্যপারে জেনে নিতাম,এ ভয়ে যে খারাপ যেন আমাকে না পেয়ে বসে।

অনেকেই মনে করে থাকেন যে কবিরা গুনাহ শুধুমাত্র সাতটি, যা হাদীসে কাবায়েরে (কবিরা গুনাহ সম্পর্কিত হাদীস) উল্লেখ আছে। কিন্তু এ ধারণাটি সঠিক নয়। কেননা এ সাতটি কাজ কবিরা গুনাহ ঠিকই, কিন্তু এ হাদীসের মধ্যে কবিরা গুনাহ কে এ সাতটির মধ্যে সিমাবদ্ধ করা হয়নি। অর্থাৎ এ হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ সাতটির মধ্যে কবিরা গুনাহকে সিমাবদ্ধ করেননি, সাতটি ধ্বংসাত্মক কবিরা গুনাহের বর্ণনা দিয়েছেন মাত্র। আল্লামা শামছুদ্দীন যাহবী রাদিয়াল্লাহু তায়ালা বলেন,হাদীসে কাবায়ের এর সাতটি গুনাহের মধ্যে কবিরা গুনাহের সিমাবদ্ধতা নেই। শাইখুল ইসলাম আল্লামা ইবনে তাইমিয়া রাহমাতুল্লাহ ও অন্যান্য উলামায়ে কিরাম বলেন, “কবীরা গুনাহ হল প্রত্যেক ঐ গুনাহ যার জন্য দুনিয়াতে শাস্তির বিধান রয়েছে অথবা আখিরাতে শাস্তির ধমকি বা হুসিয়ারি দেয়া হয়েছে” আল্লামা ইবনে তাইমিয়া রাহমাতুল্লাহ আলাইহি একটু বাড়িয়ে এও বলেছেন, যে গুনাহের জন্য ঈমান চলে যাওয়ার ধমকি এসেছে কিংবা লানত (বদ দোয়া) ইত্যাদী করা হয়েছে তাও কবীরা গুনাহের অন্তর্ভূক্ত। আর এ কবীরা গুনাহকে  উলামায়া কিরামগন চিহ্নিত করেছেন নিন্মরুপেঃ-

১- আল্লাহ তাআলার সাথে শিরক করা,

২- মানুষ হত্যা কর,

৩- যাদু করা (ভান, টোনা মেরে মানুষের ক্ষতি করা)

৪- নামাজ না পড়া,

৫- জাকাত আদায়ে অস্বিকার করা,

৬- কোন বৈধ কারণ ছাড়া রমজানের রোজা না রাখা,

৭- শক্তি ও সামর্থ থাকা সত্বেও হজ্ব না করা,

৮- পিতা মাতার অবাধ্য হওয়া,

৯- স্বজনদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা এবং আত্মীয়তা ছিন্ন করা,

১০- জিনা বা ব্যাভিচারে লিপ্ত হওয়া,

১১- সমকামিতা বা মহিলার পেছন পথে সংগম করা,

১২- সুদ খাওয়া,

১৩- এতিমের সম্পদ ভক্ষণ (ভোগ) করা,

১৪- আল্লাহ তাআলা ও তাঁর রাসূল সাঃ এর উপর মিথ্যা আরোপ করা,

১৫- রাষ্ট্র প্রধান কতৃক প্রজাদের সম্পদ ও অধিকার আত্মসাত এবং প্রজাদের উপর অত্যাচার করা,

১৬- অহংকার,

১৭- মিথ্যা স্বাক্ষী দেয়া,

১৮- মদ পান করা,

১৯- জুয়া খেলা,

২০- সতি সাধবী মহিলার উপর মিথ্যা অপবাদ দেয়া,

২১- চুরি-ডাকাতি করা,

২২- মিথ্যা বলা, মিথ্যা কসম বা শপথ,

২৩- জুলুম বা অত্যাচার করা,

২৪- হারাম মাল ভক্ষণ এবং যে কোন ভাবে তা ব্যবহার করা,
২৫- আত্মহত্যা করা,
২৬- আল্লাহ প্রদত্ত ইসলামী বিধান বাদ দিয়ে মানব রচিত বিধানে বিচার কার্য সম্পাদন করা,
২৭- ঘুষ খাওয়া এবং ঘুষ নিয়ে কারো পক্ষে রায় দেয়া,
২৮- পোষাক পরিচ্ছেদ, চলা ফেরা ইত্যাদীতে নারী পুরুষের রূপ ধারণ করা কিংবা পুরুষ নারীর রূপ ধারণ করা
২৯- দু জনের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টির চেষ্টা এবং (দাইয়ূছ) যে নিজের পরিবারের অপকর্ম কে উদারমনা হয়ে সমর্থন করে
৩০- হারামকে হালাল করা (স্ত্রী কে তিন তালাক দেয়ার পর স্বামির জন্য ঐ স্ত্রী হারাম হয়ে যায়। কিন্তু ঐ মহিলার দ্বিতীয় কোথাও স্বাভাবিক বিয়ে হওয়ার পর যদি ঐ স্বামি তাকে তালাক দেয় তবে এই মহিলা তার প্রথম স্বামির জন্য হালাল হয়।পূণরায় বিয়ে করে তাকে গ্রহন করতে পারে। অথচ এখন দেখা যায় স্বামি স্ত্রীকে তালাক দেয়ার চুক্তি ভিত্তিক হিল্লা বিয়ে দেয়া হয় কিছু সময়ের জন্য। যখন চুক্তি মাফিক চুক্তি বিয়ের স্বামি মহিলাকে তালাক দেয়,প্রথম স্বামি পূণঃ বিয়ে পড়ে তাকে গ্রহন করে। এটা শরিয়ত সন্মত নয়। এখানে চুক্তি ভিত্তিক স্বামি হল হালাল কারী আর প্রথম স্বামি হল যার জন্য হালাল করা হয়েছে। এখানে উভয়েই এই কবিরা গুনায় সমান অংশিদার।)

৩১- প্রস্রাব থেকে পরিচ্ছন্ন না থাকা (এটা খৃষ্টান্দের একটি সংস্কৃতি)

৩২- চতুস্পদ প্রাণীর মুখে লোহা দিয়ে চিহ্ন দেয়া

৩৩- দুনিয়া হাসিলের উদ্দ্যেশ্যে দ্বিনী এলেম শিক্ষা করা এবং এলেম শিক্ষা করে তা প্রচার ও প্রকাশ না করে লুকিয়ে রাখা

৩৪- গচ্ছিত মাল বা আমানতের খেয়ানত করা,

৩৫- কারো উপর দয়া,অনুগ্রহ,দান বা উপকার করে খোঁটা দেয়া,

৩৬- তাক্বদীর বা ভাগ্য কে অস্বিকার করা,

৩৭- চুপি চুপি লুকিয়ে মানুষের গোপন কথা শ্রবণ করা,

৩৮- চোগলখোরি বা বিবাদ সৃষ্টির লক্ষ্যে এক জনের কথা অন্যের নিকট আদান প্রদান করা,

৩৯- কাউকে লানত বা গালিগালাজ করা,

৪০- অঙ্গীকার,ওয়াদা বা চুক্তি ভঙ্গ করা,

৪১- জ্যোতিষি গনক বা যাদুকরকে বিশ্বাস করা,

৪২- স্ত্রী স্বামীর অবাধ্য হওয়া,

৪৩- বিপদের সময় চিৎকার করে কান্নাকাটি করা,বুক বা মুখ চাবড়ানো,পরিধেয় পোষাক ছিঁড়ে ফেলে,মাথা ন্যড়া করা,চুল ছিঁড়ে ফেলা,নিজেদের জন্য ধ্বংশ ইত্যাদী ডেকে বিলাপ করা,

৪৪- বিদ্রোহ করা বা অতিরঞ্জিত করা,

৪৫- দুর্বল অধিনস্ত দাস দাসী, স্ত্রী কিংবা কোন প্রাণীর উপর হাত উঠানো বা প্রহার করা,

৪৬- প্রতিবেশী কে যেকোন ভাবে কষ্ট দেয়া বা গালি দেয়া

৪৭- স্বর্ণ কিংবা রৌপ্যের পাত্রে আহার বা পান করা এবং পুরূষ রেশমি কাপড় (সিল্ক) বা স্বর্ণ পরিধান করা

৪৮- আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে প্রাণী জবাই করা যেমন শয়তানের নামে যাদু করার জন্য,মূর্তির নামে,পীর সাহেবের নিয়তে ইত্যাদী,

৪৯- জেনে শুনে নিজ পিতাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে পিতা বলে মানা বা দাবী করা,

৫০- ঝগড়া বিবাদ,কারো সাথে নিজের ব্যাক্তিত্ত্ব প্রকাশ বা তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দ্যেশ্যে বিতর্কে লিপ্ত হওয়া

৫১- ধোকাবাজী করা ও ঠকানো এবং মাপে কম দেয়া (এটা খুব বেশি দেখা যায় আমাদের দেশের গোশ্ত বিক্রেতাদের মাঝে। এছাড়া অন্যরা ও করে থাকে।)

৫২- আল্লাহ তাআলার পাকড়াও ও হস্তক্ষেপ থেকে নিশ্চিন্ত ও নির্ভয় হওয়া,

৫৩- মৃত প্রাণীর গোস্ত এবং প্রাণীর রক্ত ও শুকরের গোস্ত খাওয়া,

৫৪- কোন ওজর (শরীয়ত স্বিকৃত সমস্যা) ছাড়া জুমার নামাজ বা জামাত ছেড়ে দিয়ে একাকী নামাজ আদায় করা

৫৫- আল্লাহ তাআলার রহমত ও অনুগ্রহ থেকে নৈরাশ হওয়া

৫৬- কোন মুসলমান কে কাফির বলা

৫৭- মুসলমানদের মধ্যে গোয়েন্দাগিরী ও তাদের গোপনীয়তা সম্পর্কে অবগত হওয়া (বিবাদ সৃষ্টির লক্ষ্যে)

৫৮- সাহাবাদের কাউকে গালি দেয়া,

৫৯- বিচারক কার্যে অনিয়ম করা,

৬০- বংশ নিয়ে একে অপরকে তিরস্কার বা ধিক্কার দেয়া বা হেয় প্রতিপন্ন করা,

৬১- মৃত ব্যাক্তির উপর চিৎকার করে আহাজারি করা, বুক চাবড়িরা, বুক চাবড়িয়ে জামা কাপড় ছিড়ে বিলাপ করা,

৬২- রাস্তার চিহ্ন বা মাইলফলক সরিয়ে ফেলা (মিটিয়ে দেয়া)

৬৩- কোন অসৎকাজ প্রতিষ্ঠা কিংবা মানুষকে পথভ্রষ্টতার দিকে আহবান করা,

৬৪- মহিলারা নিজের চুলের সাথে নকল চুল মিলানো এবং চেহারার লোম ইত্যাদী উঠানো সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য,

৬৫- কোন ধাতব বা ধারাল বস্তু অন্যের দিকে উঁচু করা বা আঘাতের লক্ষ্যে নিশানা বানানো,

৬৬- পবিত্র হারাম শরিফে (মক্কায়) বা হারামের সিমানার মধ্যে অন্যায় অত্যাচারে লিপ্ত হওয়া।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো ইরশাদ করেনঃ-

১- যে ব্যক্তি কারো স্ত্রীকে বা দাস কে স্বামি ও মালিকের বিরুদ্বে উস্কে দিল সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়,

২- ভাইয়ের সাথে এক বৎসর সম্পর্ক ছিন্ন রাখা তাকে হত্যা করার সমতুল্য,

৩- যে ব্যক্তির সুপারিশে আল্লাহ প্রদত্ত কোন শাস্তি রহিত হল সে যেন একাজ দ্বারা আল্লাহর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলো,

৪- তোমরা মুনাফেক্বকে (সাইয়েদুনা) আমাদের নেতা বলোনা। মুনাফেক্বকে নেতা বললে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন

৫- যে ব্যক্তি বিনা অনুমতিতে কারো ঘরে উঁকি মেরে দেখল,ঐ পরিবারের জন্য তার চক্ষু নষ্ট করে দেয়া বৈধ

৬- যে ব্যক্তি মানুষের কৃতজ্ঞতা আদায় করেনা সে আল্লাহ তাআলার প্রতি ও অকৃতজ্ঞ।

উপরোল্লেখিত যে কবিরা গুনাহ গুলোর বর্ণনা পেশ করছি সে গুলো কবিরা গুনাহ হওয়ার পক্ষে কুরান ও হাদীসে একাধিক প্রমান রয়েছে।এখানে এ সংক্ষিপ্ত পরিসরে তা উল্লেখ করা সম্ভব নয়।

আসুন আমরা সবাই যাতে সকল প্রকার কবিরা গুনাহ থেকে হেফাজত থাকতে পারি এবং আমাদের জানা-অজানা সকল গুনাহ থেকে ক্ষমা পাওয়ার জন্য মহান আল্লাহ্‌ সুবহানাহু তায়ালার নিকট সর্বদায় তওবা করবো এই হোক আমাদের প্রত্যয়।

তবে মনে রাখতে হবে ক্ষমা পাওয়ার আশায় বার বার গোনাহ করা যুক্তিযুক্ত নয়, বরং এরূপ ধারণা করাও এক প্রকার স্পর্ধা ও মহাপাপ। তবে কৃত গোনাহের জন্য অনুতপ্ত ও লজ্জিত হওয়া এবং তওবা করাই হচ্ছে মুমিনের করণীয়। তাই ক্ষমা প্রার্থনায় দেরী করতে নেই। যে দেরী করে, তাকে আল্লাহ পাক অপছন্দ করেন, আর যে অনুতপ্ত হয়ে অনতি বিলম্বে ক্ষমা প্রার্থনা করে আল্লাহ পাক তাকে অত্যন্ত পছন্দ করে থাকেন। হাদীস বিশারদগণ উল্লেখ করেছেন, গোনাহ করে ক্ষমা প্রার্থনায় বিলম্ব করা আরেকটি মহাপাপ আর গোনাহ করে সাথে সাথে ক্ষমা প্রার্থনা করা, আল্লাহর দরবারে দীনতা-হীনতা প্রকাশ করা ও নিজেকে অপরাধী হিসেবে পেশ করা মুক্তির অন্যতম উপায়। আল্লাহকে ভয় করা চাই। তবে তার দয়া থেকে নিরাশ হতে নেই। কেননা আল্লাহ ব্যতীত আর কোন আশা-ভরসার স্থল নেই। বান্দার এরূপ বিশ্বাস তার ক্ষমার পথ সুগম করে এবং উন্নতির পথ সহজ ও প্রশস্ত করে। এরূপ ভয় ও আশার মাঝখানে ঈমান অবস্থান করে বলে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মত প্রকাশ করেছেন।

আল্লাহ্‌ যেনো আমাদের সবাইকে সার্বিক হেফাজত করেন এবং সকল প্রকার গুনা থেকে রক্ষা করে আমাদের ঈমানকে সুদৃঢ় করেন, আমীন।

No comments:

Post a Comment