সাগর তলে ‘আটলান্টিস’ মহাদেশের সন্ধান!
- Wednesday, 08 May 2013 16:49
ব্রাজিলের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, গ্রানাইট সাধারণভাবে শুষ্ক ভূমিতেই তৈরি হয় -ফলে আটলান্টিসের অস্তিত্ব সম্পর্কে এটিকে একটি বড় প্রমাণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি জানান, প্লেটোর তত্ত্ব অনুযায়ী আটলান্টিসের এখানেই অবস্থান করার কথা।
কিংবদন্তি অনুসারে, আটলান্টিসের একটি উন্নত মানবসভ্যতা ১২ হাজার বছর আগে সমুদ্রে নিচে তলিয়ে যায়। এরপর তা সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
জাপানি সংস্থাটি অনুসন্ধানে শিনকাই ৬৫০০ সিরিজের সাবমেরিন ব্যবহার করে। ধারণা করা হচ্ছে, সমুদ্রের নিচে পাওয়া গ্রানাইট অন্তত কয়েক লক্ষ বছর আগে সমুদ্রে ডুবে গিয়েছিল। তবে সেখানে মানুষের হাতে তৈরি কোনো বস্তুর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এই প্রথম মানুষ নিয়ে কোনো সাবমেরিন দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরে অনুসন্ধান চালালো।
গত এপ্রিলে জাপান এজেন্সি ফর মেরিন আর্থ সায়েন্স রিও ডি জেনিরোর প্রায় ১০০০ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে একটি বিশেষ ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করে রিও গ্র্যান্ডির উত্থান পরিমাপ করে। সমুদ্রের ৯১০ মিটার গভীরে ১০ মিটার উঁচু ও চওড়া খাড়া ঢালের অস্তিত্ব দেখতে পান।
বিস্তারিত বিশ্লেষণের পর দেখা যায় সেখানে বিপুলপরিমাণ স্ফটিক বালুও রয়েছে -এই উপাদানটিও সাগরে উৎপন্ন হয় না। ধারণা করা হচ্ছে, অঞ্চলের তলদেশের অংশটি মূলত ব্যাসল্ট নামের এক জাতীয় কৃষ্ণধূসর আগ্নেয়শিলা দিয়ে তৈরি।
১০ কোটি বছর আগে যখন দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকা পৃথক হয়ে যায় সে সময় আটলান্টিসের অংশটুকু মাঝে পৃথক হয়ে রয়ে গিয়েছিল। এজেন্সি ফর মেরিন আর্থ সায়েন্স-এর ধারণা মতে এই অঞ্চলটি পাঁচ কোটি বছর আগেও সাগরের উপরে ছিল। এরপর আস্তে আস্তে তা সাগরবক্ষে তলিয়ে যায়। সমুদ্রের নিচে প্রাপ্ত ফসিল থেকে অনুমান করা হচ্ছে তলিয়ে যাওয়ার সময়টি কয়েক লাখ বছর ধরে স্থায়ী হয়।
রিও গ্রান্ডির উত্থানটিই হলো এ অঞ্চলের একমাত্র সম্ভাব্য শুষ্ক স্থান অর্থাৎ যে স্থানটি কোনো এক সময়ে শুষ্ক ছিল।
অবশ্য বিশেষজ্ঞরা এখনই এ নিয়ে কোনো উপসংহারে যেতে রাজি নন। জাপানের গিফু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিনিচি কাওয়াকামি বলেছেন, “দক্ষিণ আমেরিকা এবং আফ্রিকা মিলে একটি বিশাল মহাদেশের সৃষ্টি করেছিল। ভূ-গর্ভস্থ টেকটনিক প্লেটের নড়াচড়ার ফলে তারা পৃথক হয়ে যায় -এর ফলে ঐ অঞ্চলটি সমুদ্রে রয়ে গিয়ে থাকতে পারে।”
তিনি বলেন, “আটলান্টিসের ধারণাটি আধুনিক ভূবিদ্যার বহু আগে থেকেই প্রচলিত রয়েছে। আমাদের এখনই আটলান্টিস নিয়ে কোনো উপসংহারে পৌঁছানো উচিত নয়।”
No comments:
Post a Comment