কুমিল্লায় ৪০ বছরের পাত্রের সাথে ১৩ বছরের ছাত্রীর বিয়ে
- Monday, 13 May 2013 12:19
মায়ের কাছে আকুতি মিনতি ও শত অনুরোধ থাকলেও মন গলেনি পাষন্ড মায়ের। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও এ বিয়ে মেনে নিতে পারছেন না। তবে খোদেজা আক্তারের প্রভাবেই এ বিয়ে হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানান। চলতি মাসের ৫ মে রাতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সদর উপজেলার ১ নং কালিরবাজার ইউনিয়নের ধনুয়া খলা মোল্লাবাড়ির নুরুল ইসলামের ১৩ বছরের কন্যা স্কুল ছাত্রী নাঈমা স্থানীয় কালিরবাজার হাইস্কুলের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী। পাশ্ববর্তী বরুড়া উপজেলাধীন খোসবাস ইউনিয়নের আদমসার গ্রামের আব্দুর রশিদের ৪০ বছরের ছেলে খোরশেদ আলমের সাথে বাল্যবিয়ের ব্যবস্থা গ্রহন করেন ধনুয়াখলার হারুন ও আদমসার রফিক।
গত ৫ মে খোরশেদ আলমের পরিবার স্কুলছাত্রী নাঈমাকে দেখতে এসে বিয়ে সম্পন্ন করার প্রস্তুতি গ্রহন করে। ওই দিনই নাঈমা জানতে পারেন তার অজান্তে তার মা খোদেজা আক্তার বিয়ের ব্যবস্থা গ্রহন করেন। পরে বিয়েতে রাজী হন নি নাঈমা।
কিন্তু মায়ের চাপে ও শারিরীক নির্যাতনে নাইমা হতাশ হয়ে পড়ে। ৫ মে রাতে আনুমানিক ৮টার সময় নাঈমার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তুতি চলাকালে স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌছলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে খোরশেদসহ তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়।
পরে পুলিশ নাঈমার মা খোদেজা আক্তার, স্থানীয় ইউপি সদস্য সফিক সহ গন্যমান্যদের উপস্থিতি বাল্যবিয়ে বন্ধ রাখার শর্তে লিখিত অঙ্গিকারনামা নিয়ে আসেন।
কিন্তু পুলিশ ফিরে আসারপর গভীর রাতে মা খোদেজা আক্তার ঘটক রফিক ও হারুনের সহযোগীতায় নাইমাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধেই বিয়েতে বাধ্য করে। এরপর থেকে নাইমার বাড়িতে খোরশেদ আলম ও তার পরিবারের আসা যাওয়ার ঘটনায় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি সত্যতা জানতে চাইলে মা খোদেজা আক্তার বলেন মেয়েকে বিয়ে দিয়েছে। পুলিশকি বাধা দিয়ে বন্ধ করে রাখতে পারলো? আমার মেয়েকে আমি বিয়ে দিয়েছে তাতে কারো কিছু করার ক্ষমতা নেই এ ধরনের মন্তব্য করেন আশপশের লোকজনের সাথে।
খোরশেদ আলমের লোভের প্রলোভনে এ বিয়ের জন্য তৎপর হয়ে উঠে নাঈমার মা খোদেজা আক্তার। এ অভিযোগ প্রতিবেশী ও নিকটত্বীয় স্বজনের। বাল্যবিয়ে বন্ধ করার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও অবগত ছিলেন।
No comments:
Post a Comment