চৌদ্দগ্রামে চার বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শতাধিক
- Wednesday, 08 May 2013 02:54
জানা গেছে, গত পাঁচ বছর ধরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সিএনজি বেবি টেক্সি বেড়েই চলছে। কমে গেছে জনসাধারণের পরিচিত রিক্সা। আর রিক্সা চালকরা অল্প কয়েকদিন প্রশিক্ষণ নিয়েই বেবি টেক্সি চালাচ্ছে। চালকদের বেশির ভাগই অদক্ষ ও অশিক্ষিত। ফলে তারা নিজেদের মনগড়া মতো টেক্সি চালাতে থাকে। গ্রামীণ সড়কের খানাখন্দকেও তারা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়।
আর গ্রামীণ সড়ক থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উঠার সময় দু’দিকের গাড়ি দেখে উঠে না। আবার অনেক চালক বেবি টেক্সি নিয়ে দ্রুতগামী বাসের সাথে প্রতিযোগিতা করে। এতে বেশির ভাগই দুর্ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনা হলো ; ফালগুনকরায় ঢাকাগামী অজ্ঞাতনামা গাড়ি চাপায় সিএনজি চালকসহ ৪ জন নিহত ও অপর ১ জন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- সিএনজি চালক বাতিসার কালিকাপুর গ্রামের মকবুল আহমদের ছেলে আবদুল হক, যাত্রী চিওড়া ইউনিয়নের নোয়াপুর গ্রামের হাজী আবদুস সাত্তারের ছেলে আবুল খায়ের মিন্টু ও একই গ্রামের টুকু মিয়ার ছেলে বাচ্চু, মিয়া চাঁনের ছেলে রাসেল।
সৈয়দপুর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় সিএনজি বেবী টেক্সিচালকসহ ২ জন নিহত হয়েছে। নিহতরা হলো : টেক্সি চালক চৌদ্দগ্রামের কালিকাপুর ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে বাচ্চু মিয়া ও আরোহী পাশবর্তী কালিকাপুর গ্রামের ছেরু মিয়ার জামাতা ফেনীর এয়াকুব।
চিওড়া রাস্তার মাথায় ঢাকাগামী একটি কাভার্ডভ্যান একটি সিএনজি বেবি টেক্সিকে চাপা দিলে ১ জন নিহত ও চালকসহ একই পরিবারের ৫ জন আহত হয়। নিহতের নাম মায়েদা খাতুন। আহতরা হলো রিনা আক্তার, কালাম, খালেদা, পারভিন বেগম, ইস্রাফিল।
চন্ডিপুর এলাকায় অজ্ঞাতনামা গাড়ির চাপায় রুবেল নামের এক সিএনজি চালক নিহত হয়েছে। সে চিওড়া ইউনিয়নের ডিমাতলী গ্রামের মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে।
সরেজমিন কয়েকজন অভিজ্ঞ চালকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অদক্ষ চালকরা টেক্সি চলমান অবস্থায় অনেক সময় মোবাইলে কথা বলে। ফলে সচেতন যাত্রীরা এখন মহাসড়ক এলাকায় সিএনজি বেবি টেক্সিতে উঠতে চান না। অদক্ষ চালকদের কারণে তাদেরও ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
তারা আরও বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ শিগগিরই এব্যাপারে অভিযান পরিচালনা করে নাম্বারবিহীন বেবি টেক্সি জব্দ ও অদক্ষ চালকদের শাস্তি দিলে দুর্ঘটনা কিছুটা হলেও কমে যাবে।
No comments:
Post a Comment