বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে শনিবার সকাল ১০টায়
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে
ফলাফলের কপি হস্তান্তর করেন।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার মোট ১৪ লাখ ৭৩ হাজার ৫৯৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে পাস করেছে ১২ লাখ ৮২ হাজার ৬১৮ জন।
গত বছর এই পরীক্ষায় ৯১ দশমিক ৩৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৪২ হাজার ২৭৬ জন।
সেই হিসাবে এবার পাসের হার কমেছে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ পয়েন্ট। আর পূর্ণাঙ্গ জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৩০ হাজার ৩৭৫ জন।
এবার পাঁচ হাজার ৯৫টি প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
আটটি
সাধারণ বোর্ডে পাসের হার ৮৬ দশমিক ৭২ শতাংশ। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের
হার ৯০ দশমিক ২০ শতাংশ। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাস করেছে ৮৩ দশমিক ০১
শতাংশ শিক্ষার্থী।
দুপুর ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী। দুপুর ২টা থেকে শিক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবেন।
বিএনপি
জোটোর হরতাল-অবরোধের মধ্যে এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় বসে
শিক্ষার্থীরা। হরতালের কারণে সবগুলো পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করতে বাধ্য
হয়েছিল সরকার।
গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু
হওয়ার কথা থাকলেও বিএনপি জোটের অবরোধ-হরতালের কারণে তা ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে
শুরু হয়।
হরতালের কারণে পিছিয়ে যায় এসএসসির সবগুলো পরীক্ষা। শুক্র-শনিবারে নেওয়া হয় এসব পরীক্ষা।
গত ১০ মার্চ এসএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও গত ৩ এপ্রিল এই পরীক্ষা শেষ হয়।
গত কয়েক বছরের মতো এবারও যে কোনো মোবাইল অপারেটর থেকে এসএমএস করে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল জানা যাবে।
এসএসসি
লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর
লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৫ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে দিলে ফিরতি এসএমএসে
ফল পাওয়া যাবে।
এছাড়া শিক্ষা বোর্ডগুলোর
ওয়েবসাইট থেকেও পরীক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো
ওয়েবসাইটে গিয়ে ফলাফল ডাউনলোড করতে পারবে। বোর্ড থেকে ফলাফলের কোনো হার্ডকপি সরবারহ করা হবে না।
তবে
বিশেষ প্রয়োজনে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর থেকে
ফলাফলের হার্ডকপি সংগ্রহ করা যাবে বলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি
জানিয়েছে।
No comments:
Post a Comment